বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: শায়েস্তাগঞ্জে আওয়ামী লীগের সভায় সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়াকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এমনকি তাকে স্টেজ থেকে নামিয়েও দেয়া হয়।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে সাড়ে আটটার দিকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীর গ্রুপ ও কেয়া চৌধুরীর গ্রুপের মাঝে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। ঘটনার পর প্রায় ১০ মিনিট সভা বন্ধ ছিল। পরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব সহ পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিলে পরে আবার সভা পুনরায় শুরু হয়।
জানা গেছে- মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া। রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে সভার এক পর্যায়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া।
তিনি তার বক্তব্যে বলছিলেন- ‘হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তের পত্রিকায় দেখলাম নৌকার গণজোয়ার উঠেছে”, ঠিক তখনই স্টেজ থেকে হুলস্তুল শুরু হয়ে যায়। বক্তব্যে তিনি কেন সুশান্ত দাসের কথা উল্লেখ করলেন এই বিষয় নিয়ে কেয়া চৌধুরীকে লাঞ্চিত করে স্টেজ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরীর গ্রুপ ও কেয়া চৌধুরীর গ্রুপের মাঝে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলে প্রায় ১০ মিনিট সভা বন্ধ ছিল। পরে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব সহ পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিলে পরে আবার সভা পুনরায় শুরু হয়।
এ বিষয়ে আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীকে ফোন দিলে উনার ব্যক্তিগত সহকারী বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- ম্যাডাম সভা থেকে আসার পরই খুব অসুস্থ আছেন, এখন কথা বলতে পারবেন না। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশীদ তালুকদার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আদিল জজ মিয়াকে ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেন নি।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব বলেন, সভায় কেয়া চৌধুরীর একটি বক্তব্যকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়, পরে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠে।